নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়েছেন এক কিশোরী (১৬)। রাস্তায় পড়ে গিয়ে ওই কিশোরী আহত হন। বর্তমানে তিনি জেলা সদর হাসাপাতলে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশা চালক ইমন খান ও মিটু মিয়া নামের এক যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে দিরাই থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জকিনগর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু কাপড়চোপর কেনার জন্য তারা তিনজন দিরাই পৌর শহরে আসে। অন্য দুজনের কেনাকাটা শেষ হওয়ায় তারা আগেই চলে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেয়েটি কেনাকাটা শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সেখানে দাড়ানো একটি অটোরিকশায় ওঠে। সেখানে তখন মানুষের ভীড় বেশি ছিল। এ সময় আরও দুই যুবক দুই দিকে ওঠে পড়ে। এরপরই চালক অটোরিকশা চালিয়ে দেয়।
কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটি দেখতে পায় অটো সুনামগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছে। তখনই অটোরিকশা থামাতে বলে চালককে। এই কথা বলার পরই পাশে থাকা দুইজন তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে। মুঠোফোন কেড়ে নেয়। তখন মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এভাবে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় অটোরিকশা দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় আসে। এই সময় জোরে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে কোনো রকমে ছাড়িয়ে মেয়েটি চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।
স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দিলে রাত ১১ টার দিকে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেয়েটির বাবা জানান, আমার মেয়ে কাপড়চোপড় কিনতে বাজারে আসছিলে। সে সন্ধায় বাড়ি ফিরেনি। আমরা এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। রাতে আমার আত্মীয় ফোন দিয়ে তাঁর আহত হওয়ার খবর জানায়। খবর শুনে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমি গরীব মানুষ। আমি বুঝতে পারছিনা কি করবো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর ( সার্কেল) জাহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ভিক্টিমের সাথে কথা বলে আরও তথ্য পেয়েছি। তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে সিএনজি চালক ও এক যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।