নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিশ্বনাথে টেন্ডারের পরও পৌর প্রশাসকের হাতে আটকে আছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার উন্নয়ন কাজ! প্রায় আড়াই মাস পূর্বে টেন্ডার হওয়া এই কাজগুলো শুধু লটারী আর ঠিকাদার নির্বাচনের জন্য আটকে আছে। রাজস্ব খাত থেকে কাজগুলো করার জন্য উদ্যোগ নেন তৎকালীন মেয়র মুহিবুর রহমান।
রাজস্ব খাত থেকে কাজগুলোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকা। মেয়র পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই কাজের টেন্ডার আহবানও করেন। গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকে চারটি প্যাকেজে কয়েকটি রাস্তা সিসি ঢালাই আর পৌর শহরের নতুন ও পুরাতন দুটি বাজারে লাইটিং কাজের জন্য টেন্ডার কাজ সম্পন্নও করেন মেয়র।
তবে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচনের পূর্বেই বর্তমান সরকার মেয়র পদ স্থগিত করে দেয়। ফলে ১৮ আগস্ট পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদের। কিন্তু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত টেন্ডার হওয়া কাজের লটারী বা ঠিকাদার নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। আগামী ১৮ নভেম্বর লটারী করে ঠিকাদার নির্বাচনের তিন মাসের মেয়াদকাল শেষ হবে। ফলে জনস্বার্থে ওই উন্নয়ন কাজগুলোর ভবিষ্যৎ প্রায় অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি লাখ লাখ টাকার পে-ওয়ার্ডার নিয়ে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছেন ডেন্টার ড্রপকারি ঠিকাদাররা।
ঠিকাদার একেএম দুলাল বলেন, প্রায় আড়াই মাস পূর্বে চারটি প্যাকেজের ওই কাজগুলোর টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও লটারী বা ঠিকাদার নির্বাচন করা হচ্ছে না। এতে আমরা কয়েকজন ঠিকাদার ব্যাংক থেকে লোন করে লাখ লাখ টাকার পে-ওয়ার্ডার জমা দিয়েছি। প্রতিমাসে ব্যাংকের লোনে এই টাকার সুদ জমা হচ্ছে। ফলে আমরা ঠিকাদাররা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদেররের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোনও রিসিভ করেন নি।