ওসমানীনগরে তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম

ওসমানীনগরে তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, তারপরও সিলেটের ওসমানীনগরে চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলো পড়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। দিন কিংবা রাত সমান তালে হচ্ছে লোডশেডিং এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। বিপাকে পড়েছেন বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ করে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। এর পর থেকে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও পরের এক ঘন্টা লোডশেডিংয়ের আওতায় থাকছেন গ্রাহকরা। প্রচন্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের এই লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ। বিপাকে পড়েছেন বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, ব্যাংক, বীমা ও অফিস সংশ্লিষ্টরা। ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ ওসমানীনগরের খাশিকাপন জোনাল অফিসের ১৫টি ফিডারের আওতায় ৬৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে প্রতিদিন গড়ে ১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাত হতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে আনলে ঘাটতি পূরণের জন্য একঘন্টা পরপর লোডশেডিং শুরু হয় যা এই রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত (বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা) অব্যাহত আছে।

ওসমানীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনা বলেন, এক ঘন্টা পর পর বিদ্যুতের লোডশেডিং এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে ঠিক মতো ঘুমানো যাচ্ছে না। যাদের ঘরে অসুস্থ রোগি রয়েছেন তাদের দুর্ভোগের সীমা নেই।

ব্যবসায়ী কাজল দাশ বলেন, এক ঘন্টা পরপর বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ কাশিকাপন জোনাল অফিসের ডিজিএম নাইমুল হাসান বলেন, ৬৫ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন গড়ে ১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন থাকলেও এখন এর অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে এক ঘন্টা পরপর লোডশেডিং করে ঘাটতি মোকাবেলা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে সরবরাহ কমানো হয়েছে এমনটি জাতীয় গ্রিড থেকে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *