টানা কর্মবিরতিতে অচল শাবিপ্রবি

টানা কর্মবিরতিতে অচল শাবিপ্রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। টানা কর্মবিরতির কারণে শাবির স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রমে ঘটছে ব্যাঘাত, সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা গ্রহণে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

মঙ্গলবার শাবি শিক্ষক সমিতি পূর্ণ দিবস ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে। 

এদিকে কোটা ব্যাবস্থার পুনর্বহালের প্রতিবাদে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিক্ষোভ ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। 
এছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ একমাস গ্রীষ্মকালীন ও ঈদের ছুটিতে শেষে ক্যাম্পাস খোলার কথা। তবে  বন্যা পরিস্থিতির সাথে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। কবে থেকে চালু হবে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কিছু বলা হচ্ছেনা।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপল ড. অাখতারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা আমরা বুঝতেছি। এ সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সাথে আলোচনার কথা বলছি। তবে কেউ শিক্ষকদের কর্মসূচিকে মূল্যয়ন করছেন না। আমরা চাই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, আমাদের সাথে বসে বিষয়টির সমাধান করা হোক। অচলাবস্থা কাটিয়ে আবারো শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসুক।
এদিকে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যাচ্ছেনা প্রয়োজনীয় সেবা। কোনো শিক্ষার্থী মার্কসিট, সার্টিফিকেট বা প্রয়োজনীয় সেবা পেতে চাইলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কর্মসূচি শেষ হওয়ার। 
এ ব্যাপারে শাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক বর্মন অসীম বলেন, সর্বজনীন প্রত্যয় স্কিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য বৈষম্যমূলক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ফেডারেশনের নির্দেশনায় তিনদিনের কর্মবিরতি  চলমান থাকবে। কর্মকর্তারা সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। আশা রাখি শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিতে অনতিবিলম্বে কর্তৃপক্ষ পেনশন স্কিম বাতিল করবেন।
এছাড়া কর্মচারীদের কর্মবিরতি নিয়ে  কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রমজান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আন্ত: বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা তিনটি দাবি জন্য কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি তিনটি হলো- পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিল, অভিন্ন নীতিমালা বাতিল ও নবম পে-স্কেল প্রদান। দাবিগুলো না মানলে ফেডারেশনের নির্দেশনায় আমরা পরবর্তী কর্মসূচি পালন করবো।
সার্বিক বিষয়ে গত ১জুলাই শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিক্ষকদের কর্মবিরতি সম্পর্কে অবগত আছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে স্বস্ব বিভাগগুলো শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের (সিআর) সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *