নিজস্ব প্রতিবেদক :: ২৯ জানুয়ারি চ্যারেটি ওয়ার্ক করার উদ্দেশ্যে পরিবার নিয়ে দেশে ফিরেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওসমানীনগরের পাচপাড়া গ্রামের আমাদ আলী। পরদিন সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বুরুঙ্গা সড়কেরমুখ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য পরিবার নিয়ে রক্ষা পান তিনি। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কিত রয়েছেন। তিনি মনে করছেন আরেকটা নতুন জীবন পেয়েছেন। এর আগে তিনি করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফিরে ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কের বাজার ও জনকোলাহলপূর্ণ এলাকায় স্পীড ব্রেকার স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এই প্রবাসি।
নর্থইস্ট বাংলাদেশী এওয়ার্ডস (নিবা) এর প্রতিষ্ঠাতা আমাদ আলী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে জানান, বাংলাদেশে অবস্থানরত রুহিঙ্গাদের জন্য রমজানের খাবারের জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে পরিবার নিয়ে দেশে দেশে এসেছেন। দেশে ফেরার পরদিন মাইক্রোযোগে শেরপুর থেকে বুরুঙ্গার আনোয়ারপুর যাচ্ছিলেন। মহাসড়ক থেকে আঞ্চলিক সড়কে প্রবেশের জন্য সড়কের পাশে অপেক্ষমান অবস্থায় একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাদের মাইক্রোকে ধাক্কা দিলে মাইক্রোটি ছিটকে পড়ে ধুমড়েমুচড়ে যায়। তবে অলৌকিক ভাবে তাদের কোন ক্ষতি না হলেও ট্রাক চালক গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থলে কোন স্পীড ব্রেকার থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে তিনি মনে করেন। দুর্ঘটনারোধে মহাসড়কের পাশে যেখানে বাজার ও জনকোলাহলপূর্ণ এলাকা রয়েছে সেখানে স্পীড ব্রেকার স্থাপনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল আপন টাইন সিটি কাউন্সিলের সাবেক লর্ড মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রবাসী শাহ এমলাক আলী, সৈয়দা পারভীন আলী, সৈয়দ আরমান ্আলী, শাইস্তা মিয়া, মিছবাহ সিদ্দিকী, খুকন সিদ্দিকী, মটুক চৌধুরী, শাহ শওকত প্রমূখ।
আমাদ আলী বলেন, বিদেশে থাকলেও আমাদের মনপ্রাণ দেশে পড়ে থাকে তাই নারীর টানে দেশে আসি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। মনে হয়েছে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। করোনাকালীন সময়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফিরে এসে নতুন জীবন পেয়েছিলাম। সেই সময় ‘এ মিলিয়ন স্টেপ টু ফাইট কোভিড’ নামে একটি ফান্ড তৈরি করে অর্ধেক ফান্ড সে দেশের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে এবং অর্ধেক বাংলাদেশী রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য দিয়েছি। দেশে ফিরে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যেন আবার নতুন আরেকটি জীবন পেলাম। সড়ক দুর্ঘটনারোধে স্পীড ব্রেকার স্থাপনে সরকার চাইলে আমরা প্রবাসীরা সরকারকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো।